Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
যে ৫টি খাবারে পুরুষের যৌবন ধরে রাখে আজীবন

যে ৫টি খাবারে পুরুষের যৌবন ধরে রাখে আজীবন

সুস্থ থাকতে কে না চায়। আজীবন যৌবন ধরে রাখার জন্য পুরুষরা নানা পথ্য খান। তবে সুস্থ থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর শাক-সবজি। শাক-সবজিতে রয়েছে পুষ্টিকর খাবার। সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার।
তবে তা হতে হবে ফরমালিন মুক্ত। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষদের সবদিক থেকে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যৌবন ধরে রাখে আজীবন। নিজের যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দেয়া দরকার। এমন ৫টি খাবারের কথা বলা হলো যা আপনার জীবন ও যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন।
জেনে নিন, কি সেই সব খাবার- ১. মিষ্টিকুমড়ার বিচি : এতে আছ প্রচুর সাইটোস্টেরোল। এটি পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষের শক্তি বাড়ায়। পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ২. আমলা : আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় একে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র বলে গণ্য করা হয়। পুরুষের শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতেও দারুণ সহায়ক। ৪. রসুন : অনেকেই বলে থাকেন রসুন কেবলমাত্র ঠাণ্ডা-সর্দির জন্য ভালো। ধারণাটা ভুল। এতে আছে অ্যালিসিন, যা রক্তপ্রবাহ সৃষ্টি করে সুস্থতা রাখে। ৫. কলা : ফলটি শারীরিক সক্ষমতাকে হ্রাস করে। এটি এমন এক ফল যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে স্ট্রোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে খাবার যা-ই খান কেন নিজেকে উৎফুল্ল না রাখলে কোনোভাবেই জীবন-যৌবন ধরে রাখতে পারবেন না। সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি রাখুন, বিষন্নতা কোনোভাবেই ধারে-কাছে ভিড়তে দেবেন না। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন, দেখবেন এমনিতেই আপনার মনটা ভরে গেছে। ঘুমের ক্ষেত্রে কিন্তু কার্পণ্য করবেন।
আঙুল ফোটান? ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন জানেন কি?

আঙুল ফোটান? ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন জানেন কি?

অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে অথবা অলসভাবে বসে থাকার মাঝে আঙুল ফোটানের কাজটা অনেকেই করে থাকেন৷ এই কাজের সঙ্গে সঙ্গে শব্দটাও অদ্ভুতভাবে অনেকের খুব প্রিয়৷ কিন্তু এই অভ্যেস আপনার কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তা কি জানা আছে আপনার?

জানা যায়, আঙুল ফোটানোর সময় আঙুলের হাড়ের সংযোগস্থলে জমে থাকা তরল বস্তুর মধ্যে গ্যাসের গহ্বর সৃষ্টি হয়৷ ধীরে ধীরে তা এক গর্তের রুপান্তরিত হয়৷ এবং পরবর্তীকালে এর থেকেই সেই গিঁটে ধরতে পারে ফাটল৷
স্বাধীনতার সময় থেকেই এই নিয়ে নানা গবেষণা চলে আসছে, যা নিয়ে হয়েছে বহু তর্ক-বিতর্কও৷ বহু আগে একদল গবেষক জানিয়েছিলেন, আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় হাড়ের সংযোগস্থলে গ্যাসের বুদ্বুদ গঠনের কারণে। তবে এই বক্তব্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন আরেক দল বিজ্ঞানী৷ তাঁদের মতে, হাড়ের সংযোগস্থলের ফাঁকা অংশে জমে থাকা তরল বুদ্বুদ ধ্বংসের ফলে এই শব্দের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু পরবর্তীকালে অত্যাধুনিক ভিডিওতে ধরা পড়ে যে, ক্র্যাকিং এবং জয়েন্টের বিচ্ছেদের ফলে দ্রুত জমে থাকা তরলের মধ্যে গ্যাস ভরা গহ্বর সৃষ্টি হয় এই পিচ্ছিল তরল পদার্থ জয়েন্টগুলোকে আবৃত করে রাখে।
এক বিজ্ঞানীর মতে, আমাদের সন্ধি গুলো হঠাৎ আলাদা হলে, ওই সময় সেখানে কোনও তরল পদার্থ অবশিষ্ট থাকে না। এসময় একটি ক্ষত সৃষ্টি হয় এতেই সৃষ্টি হয় শব্দ। কিছু বিজ্ঞানীরা জানান, চাপের ফলে উৎপন্ন শক্তি হাড়ের কঠিন পৃষ্ঠতলের খুবই ক্ষতি করে থাকে। তাই এবার থেকে কিন্তু একটু সাবধান!
রমজানে পানি শূন্যতা পূরনে করনীয় । bdevent24

রমজানে পানি শূন্যতা পূরনে করনীয় । bdevent24








অনলাইন ডেস্ক:
 পানি দেহের জন্য ভীষণ জরুরি। শুধু রমজান নয়, পুরো বছরে পান করুন প্রচুর পানি। পানি দেহের প্রতিটি অঙ্গের জন্য আনে সুফল। আমাদের দেহের ভেতরে কোনো দাঁত নাই। তাই খাবার ভালো ভাবে হজম হবার জন্য প্রতিদিন গড়ে ১-২ লিটার পানি পান করা দরকার। পানি খাবারের সাথে মিশে খাবার হজমে সাহায্য করে। পানি আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গের জন্য ভীষণ জরুরি।
আমাদের দেহের অতি প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গের নাম হলো কিডনী। কিডনী দেহের ছাকন যন্ত্রের মতো কাজ করে। দেহের জরুরি উপাদানগুলোকে রেখে, অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে সূত্রের সাহায্যে শরীরের বাহিরে বের করে দেয় কিডনী। এই অঙ্গ আমাদের দেহে রয়েছে পেটের দুই পাশে দুইটি। প্রচুর পানি খেলে কিডনী কাজ করে ভালোভাবে। তবে কিডনী নষ্ট হয়ে যাবার পরে, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত পানি খাওয়াটা অনুচিত।
প্রচুর পানি খেলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের পরিমাণ কমে যায়। বুকে জ্বালা পোড়া, বমি বমি লাগা, টক ঢেকুর ওঠা, পেটে ব্যাথা, বুকে আলপিনের মতো খোঁচানো ব্যাথা, পিঠে ব্যথাও কমে যায়। খাবার সঠিক ভাবে হজম না হবার জন্য এমন হয়।
এই রমযানে তেলে ভাজা খাবার খাওয়া হয় বেশি। তাই এফতারের পরে থেকে সেহরী পর্যন্ত পান করুন প্রচুর পানি। পানি দেহের ফ্যাট সেলগুলোকে কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন কমাতে সুবিধা হয়। যারা প্রচুর খাবার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম করে, ওজন কমাতে চায়, তাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ও প্রচুর পানি পান করা উচিৎ।
প্রচুর পরিমাণে পানি দেহের বিলিরুবিনের এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। বিলুরুবিন হলো রক্তের একটি জরুরী উপাদান। যা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেড়ে গেলে জন্ডিস হয়ে যায়। আবার পিত্তথলির কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য পানি পান করাটা যথেষ্ট দরকার।
কাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য পানি ভীষণ দরকার। পানি নিয়মিত খেলে খাবার ঠিক মতো হজম হয়, ব্রণও ভালো হয়। পুরো দেহে রক্ত চলাচল ঠিক মতো হবার জন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।
গর্ভস্থ শিশু পেটে পানির থলের মধ্যে থাকে। গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত পান করলে সেই পানির ব্যাগটি ভালো থাকবে।
যেকোনো অপারেশনের পরে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবার জন্য কাটা জায়গায় চাপ লাগবেনা, রক্ত ঠিক মতো চলাচলের জন্য কাটা জায়গা দ্রুত শুকাবে।
ঘাম ও মূত্রের সাহায্যে দেহের দূষিত তরল পদার্থকে বাহিরে বের করতে সাহায্য করে পানি। এতে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় থাকে, হাত পায়ের তলায় জ্বালা পোড়া কমবে। যাদের বার বার প্রস্রাবে ইনফেকশান হয়। তারা প্রচুর পানি পান করুন।
মাতৃদুগ্ধদানকালীন, অতিরিক্ত গরমে দেহের লবণ পানির সাম্যাবস্থা বজায় রাখার জন্য, ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃৎপিন্ড ভালোভাবে কাজ করার জন্য পানি প্রচুর পরিমাণে পান করাটা ভীষণ দরকারী। জন্মনিয়ন্ত্রণকারী পিল খান, এমন নারীরা প্রচুর পানি পান করুন।
কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় খুব বেশি। এই অবস্থা দূর করার জন্য দরকার প্রচুর পানি।
দীর্ঘক্ষণ চোখ বা মস্তিষ্কের কাজ করার পরে পানি খেলে, মস্তিষ্কের প্রতিটি স্থানে রক্তের সাথে পানি পৌঁছে, কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তে ইনফেকশনের পরিমাণ কমায় পানি।

পানির অপর নাম জীবন। তাই সময় ও সুযোগ বুঝে নিয়মিত প্রচুর পানি পান করুন। কর্মক্ষেত্রে সম্ভব না হলে, যে সময়টুকু বাসায় আছেন, সেই সময়ে পানি পান করুন বেশি করে। আর রমজানে বেশি পানি খেলে অ্যাসিডিটির পরিমাণ কমবে। দূর হবে পানি শূন্যতা
শসার অসাধারণ পুষ্টিগুন ও উপকারিতা । bdevent24

শসার অসাধারণ পুষ্টিগুন ও উপকারিতা । bdevent24



স্বাস্থ্য ডেস্কঃ সাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ ভাগ। ফলে এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে এবং ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে দেহ শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়েট করার ক্ষেত্রে শসা অসধারন বন্ধু হতে পারে আপনার।
এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে যেমন সামলে রাখছে তেমনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। আসুন জেনে নেয়া যাক চিরচেনা শসার অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
বিষাক্ত টক্সিন দূর করণে
শসা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় কোন চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।
ভিটামিনের চাহিদা পূরণে
প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভাব।
ক্যানসার প্রতিরোধে
শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল নামে তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।
হজম ও ওজনহ্রাসে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসায় থাকা স্টেরল নামক উপাদান রক্তের কোলেস্টরলের আধিক্য কমাতে ভূমিকা রাখে
পানিশূন্যতা দূর করণে
পানির তৃষ্ণা মেটাতে শসা খুবই কার্যকরী। একটি শসা প্রায় ৯০ শতাংশ পানি ধারণ করায় খুব দ্রুত আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে করতে পারে প্রাণবন্ত।
গেঁটেবাত থেকে মুক্তিতে
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
একটি শসাকে নারকেল কুড়ানের মত করে ১০০ গ্রাম শসা কুড়ে নিতে হবে। এবার কুড়ানো শসাকে একটি ব্লেন্ডারে রাখুন, তাতে কিছুটা পানি দিন অন্য কিছু দেবেন না। যাদের ব্লেন্ডার নেই, তারা শিলাপাটায় শসা পিষে নিয়ে পানি মিশিয়ে সরবত তৈরী করে নিতে পারেন। এবার হয়ে গেল শসা পানির সরবত। এই ভিটামিন সরবত খালি পেটে সকালের নাস্তা খাবার ১৫-২০ মিনিট আগে খেয়ে নেবেন। এটা খাওয়া চালিয়ে যান একমাস পর্যন্ত। একমাস পর রক্ত পরীক্ষা করে নিতে পারেন কতটা পরিবর্তন হলো বা আদৌ হয়নি কি। শসা একটি প্রাকৃতিক সবজি। আমরা কত সবজিই তো কাঁচা খাই, সুতরাং এটা খেতেও সমস্যা নেই। এই সরবত খাওয়ার ফলে মস্তিস্কসহ ধমনীতে জমে থাকা প্রচুর এল ডি এল তথা আণবিক ওজন অপসারণের কাজ করে। এর ফলে ব্যক্তির স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। শসার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনের সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শসায় আছে ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম ও খাবার উপযোগী আঁশ। বিদ্যমান এসব উপাদান শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শসায় আছে স্টেরল নামের একধরণের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্টেরল মুটিয়ে যাওয়া রোধ করতেও সহায়ক। শসা উচ্চ রক্তচাপ এবং নিন্ম রক্তচাপ দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এমনকি শসার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতেও অনেক সাহায্য করে।
মাথাব্যথা দূর করণে
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথাব্যথা করার অভ্যাস আছে। শরীর অবসাদ ভাব আসে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকে না।
চুল ও নখের সুস্থতাই
শসায় থাকা খনিজ সিলিকা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কিডনির সৃষ্ট পাথর দূর করণে
শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়–র মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
দেহ কলা উন্নয়নে
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও শসা খুব ভলো কাজ করে। শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। ত্বক পরিস্কার রাখতে শসার স্লাইস, জুস প্রভৃতি বেশ কাজে দেয়। এজন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় অনেকে শসা ব্যবহার করে থাকেন। তাছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘঁষে দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। শসায় উপস্থিতিতে সিলিকা মালস, কার্টিলেজ, লিগামেন্টের কানেকটিভ টিস্যু (কলা) গড়ে ওঠে এবং দেহের কলাকে শক্তিশালী ও মজবুত করে তুলে। ফলে শসায় বিদ্যমান খনিজ উপাদানসমূহ নখ, দাঁত ও মাড়ির জন্য ভাল হয়।
চোখের যত্নে
সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। এমনকি চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া, জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে শসা কাজ করে।
রূপচর্চায় শসা
সুলভ ও সহজলভ্য এই সবজিটির ব্যবহার শুধু খাবার টেবিলে সালাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি শসা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্যও সমানভাবে উপকারী। রূপসচেতন নারীদের ডায়েট চার্টে শসা প্রধানতম উপাদান। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী রূপচর্চার পার্লারগুলোতে শসা অন্যতম প্রধান উপাদান হিসাবে বিবেচিত।
নারীর রূপচর্চায় শসার কয়েকটি ব্যবহার
১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসা খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ওপেন পোর নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি উপকারী। মুখ ধোয়ার পর শুধু শসার রস টোনার হিসেবে মুখে লাগাতে পারেন। একে আরো কার্যকারী করতে আপেল, সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. শসাতে থাকা ব্লিচিং প্রপার্টিজ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও চামড়ার ভাঁজ সমান করে। সান বান (রোদ্রে পোড়া) দূর করতে বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন শসার রস মুখ ধোয়ার পর লাগাতে পারেন।
৩. মুখের ব্রনের সমস্যা দূর করতে চাইলে ২ চা চামচ শসার রসের সাথে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। ব্রন কমে যাবে।
৪. শসা খাওয়ার ফলে শরীরের ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। এর কারণ হচ্ছে শসার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। শসার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং পটাশিয়াম, যা ফাইন লাইন্স, রিংকেলসহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।
৫. বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ গ্রেট করা শসা এবং ২টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফাইন লাইন্স ও রিংকেল দূর করে ত্বক টানটান এবং সুন্দর করে।
৬. অনেকের মুখের ত্বক তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস, এবং শসা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চামড়ার অতিরিক্ত তেলভাব নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. যদি মুখের ত্বক শুস্ক হয় হবে ১ চা চামচ ওটমিল এবং পরিমাণ মত শসা পেস্ট তৈরী করে একসাথে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। মুখে এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি ভালো মতো মেখে ২০ মিনিট রাখুন। ত্বক ময়েশ্চায়ইজড রাখার জন্য মিশ্রণটির সাথে ১ চা চামচ মধুও মিশাতে পারেন।
৮. ডার্ক সার্কেল (কালশিটে) কমাতে শসা বেশ কার্যকর। শসাতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের কালশিটে কমিয়ে চোখের চারপাশের স্কিন ভালো রাখে। শসা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শসার স্লাইসটি লগিয়ে সেই তুলা কিংবা শসার স্লাইসটি চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নীচের কালশিট কমবে। এ ছাড়াও শসাতে থাকা এসকরবিক এসিড এবং ক্যাফেইক এসিড চোখের ফোলাভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী।
৯. আমাদের অনেকের নখ কোমল এবং ভঙ্গুর। তাই নিয়মিত শসা খেলে এর মাঝে থাকা প্রচুর পরিমাণে সিলিকা যা নখ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে নখের ভাঙ্গা কমে গিয়ে নখ শক্ত হয়।
১০. ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে একটি শসা ব্লেন্ডারে ভালো মতে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা পেস্টে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখ ও ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।
১১. শসায় বিদ্যমান সালফার, সিডিয়াম, সিলিকন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম চুলের বৃদ্ধিতে অতুলনীয় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শসা ও টমেটো ব্লেন্ডারে মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
১২. একটি শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার একটি ডিমের মধ্যে তিন চা চামচ অলিভ অয়েল প্রথমে ভালো মতো মিশিয়ে এরপর এর সাথে শসার খোসার পেস্ট মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে।
ঘন চুল পেতে রসুনের ৪ ব্যবহার

ঘন চুল পেতে রসুনের ৪ ব্যবহার



ঘন ও লম্বা চুল পেতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ সমৃদ্ধ রসুন চুলের গোড়া মজবুত করে। রসুনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, রুক্ষতা দূর করে। খুস্কির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক কিভাবে রসুন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
১) প্রথমে রসুনের পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে লাগান। ৩০ মিনিট ওই মিশ্রণ লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন।
দেহে হরমোনের ঘাটতি আছে কিনা তা বোঝার উপায়-Bd Event 24

দেহে হরমোনের ঘাটতি আছে কিনা তা বোঝার উপায়-Bd Event 24


নারী-পুরুষ উভয়েরই বিভিন্ন সময় শরীরে হরমোন জনিত বিভিন্ন সমস্য হয়। হরমোন জনিত সমস্যা হলে কোন কাজে মন বসে না্। কেমন যেন অবসাদ এসে যায়।
তাছাড়া মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক বিভিন্ন অসুখের উপসর্গ দিন ধরে রয়ে যেতেও দেখা যায়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে পাঁচটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।
অবসাদ
অবসাদের অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক।
কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সব সময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান।
ত্বকের অবনতি
ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে।

দ্রুত পশম/চুলের উদ্ভব
শরীরের এখানে সেখানে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে।
ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া
ইলেক্ট্রিসিটি যদি চলে না যায় বা আপনার বেডরুম যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত গরম না হয়, তাহলে ঘেমে-নেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাবার কারণ হতে পারে ইস্ট্রোজেনের অভাব এবং অনিয়মিত ডিম্বপাত।
অনিয়মিত পিরিয়ড
অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা PCOS (polycystic ovary syndrome)।
PCOS এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়।
গলাব্যথা কমাতে খুব উপকারী লেবু

গলাব্যথা কমাতে খুব উপকারী লেবু

গলাব্যথা খুব প্রচলিত সমস্যা। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ গলাব্যথার জন্য দায়ী। গলাব্যথা কমাতে লেবু খুব উপকারী।লেবুর মধ্যে রয়েছে দুটি উপাদান। একটি কৌমারিন, আরেকটি টেট্রাজিন। এই দুটো উপাদানই গলাব্যথা কমাতে ভিন্নভাবে কাজ করে।
এ ছাড়া লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।গলাব্যথা কমাতে লেবু ব্যবহারের বিষয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়স

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়স

নানা রকম সুস্বাদু শাকসবজির মধ্যে ঢেঁড়স একটা। এটি মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অনেকেই সবজিটি পছন্দ করেন না। সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে ঢেঁড়স চাষ করা হয়। তবে ঢেঁড়স প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। ঢেঁড়সে উচ্চমাত্রার ফাইবার, ভিটামিন কে, সি, ভিটামিন বি ১, বি ৩, বি ৬, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, কম ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে এবং এটি পুষ্টিতে ভরপুর।
ঢেঁড়সে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও রয়েছে।ঢেঁড়সে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়াবেটিসের সমস্যা দূরে থাকে।এ ছাড়া গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন সময়ে ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢেঁড়স কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
তরমুজ কেন খাব ?| bdevent24

তরমুজ কেন খাব ?| bdevent24

গ্রীষ্মকাল শুরু হতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। এরই মধ্যে তীব্র গরম পড়তে শুরু করেছে। তরমুজ এই সময়ের জন্য উপযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি। তাই ডায়রিয়া বা বমি করার পর এবং যারা অতিরিক্ত রোদে থাকেন তাঁদের জন্য তরমুজ জরুরি ফল। এতে নিম্ন মাত্রার ক্যালরি, অতি উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।প্রচুর পরিমাণ রসালো ফল হওয়ায় কিডনির জন্য বয়ে আনে সুফল।
তরমুজ রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে কিডনিতে পাথর, ইনফেকশনসহ যাবতীয় অসুখ তুলনামূলক কম হয়। আর কিডনি ভালোভাবে কাজ করার জন্য দেহের বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে বের হয়ে যায়।ভীষণ উপকারী ভিটামিন ‘সি’র বসতি এই ফলে।
রক্ত দেয়ার আগে যা করবেন

রক্ত দেয়ার আগে যা করবেন

রক্ত দেয়া মহৎ কাজ। কিন্তু অনেকে রক্ত দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। জেনে নিন রক্ত দেয়ার আগে কী কী জানতে হবে।
রক্তদান খুব দুরূহ কাজ না হলেও অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করে। কিন্তু একবার রক্ত দেয়ার পর বুঝতে পারবেন ভয়ের কিছুই নেই। সাধারণত দাতার শারীরিক যোগ্যতা বিচার করে ডাক্তারেরা রক্ত সংগ্রহ করেন। তবে রক্তদানের আগে কিছু প্রস্তুতি দরকার। রক্ত দেয়ার আগে কী করণীয় এখানে সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো
১. একদম খালি পেটে বা ভরা পেটে রক্ত দেবেন না। রক্ত দেয়ার কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে পেট পুরে খেয়ে নিন।
আদা পানি পানে ৫ উপকারিতা| bdevent24

আদা পানি পানে ৫ উপকারিতা| bdevent24

শরীরের নানা রোগ সারাতেও বিশেষ অবদান রয়েছে আদার। আদার মধ্যে অসুখ-বিসুখ নিরাময়কারী বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।
আসুন জেনে নেই আদা পানির গুণাগুণ সম্পর্কে-
১. হজমে সাহায্য করে আদা পানি৷ এই আদা পানি পান করলে খাবার হজমের কাজে খুবই মসৃণ হয়ে যায়৷
২. রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আদা পানি৷ যার ফলে আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়।
সহজে চশমার লেন্স পরিষ্কারের কিছু টিপস

সহজে চশমার লেন্স পরিষ্কারের কিছু টিপস








আমরা অনেকেই প্রয়োজনে আবার অনেকে ফ্যাশনের জন্য চশমা ব্যবহার করে থাকি। তবে সানগ্লাসের বদলে চশমা বেশির ভাগ সময় প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের ভুল ব্যবহারের কারণেই অনেক সময় অসাবধানতাবশত চশমার লেন্সে দাগ পড়ে যায়। আর এই সব দাগের জন্য চশমার লেন্স ঘোলা হয়ে যায়।
এবং দেখতে অসুবিধা হয়ে থাকে। চশমার লেন্সে দাগ পরে গেলে হাতের কাছে থাকা উপাদানের সাহায্যে ঝটপট পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নিই উপায়গুলো।
নিচে চশমা পরিষ্কারের সহজ একটি প্রক্রিয়া দেওয়া হল:
মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন চশমার গ্লাস। এবার সামান্য টুথপেস্ট লাগান গ্লাসে। চক্রাকারে কয়েক মিনিট ঘষুন। মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে ঘষে উঠিয়ে ফেলুন পেস্ট। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়েও মুছে নিতে পারেন। ঝকঝকে হবে চশমার লেন্স।
২ চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার টুকরা দিয়ে লেন্স আগে পরিষ্কার করে নিন। এরপর সোডার পেস্ট লাগিয়ে ধীরে ধীরে ঘষুন। মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।প্রবাহিত হালকা গরম পানিতে আলতোভাবে লেন্স ধুয়ে নিন।
এরপর লেন্সে ডিশ সোপের মতো হালকা কোনো সাবান মাখুন সতর্কতার সঙ্গে। আবারও গরম পানিতে ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময় অবশ্যই নোজ প্যাডসহ পুরো ফ্রেম পরিষ্কার করবেন। তবে সিটরিকভিত্তির ডিটারজেন্ট বা ডিশ সোপ ব্যবহার করবেন না। এ সব লেন্সের জন্য ক্ষতিকর।