Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts
Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts
ঢাকার মাঠে সর্বোচ্চ জুটি মুশফিক-মুমিনুলের

ঢাকার মাঠে সর্বোচ্চ জুটি মুশফিক-মুমিনুলের


সিলেট টেস্টে হারের পর রোববার (১১ নভেম্বর) ঢাকা টেস্টে আশা নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে অনেকটা বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে চতুর্থ উইকেটে ২৬৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। ঢাকার মাঠে যা এখন পর্যন্ত টাইগারদের সর্বোচ্চ জুটি।
এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী। এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম অব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ জুটি গড়লেন মুশফিক-মুমিনুল।
তবে মুশফিক আর মুমিনুলের এই জুটি আরো বড় করার সুযোগ ছিল। কিন্তু টেন্ডাই চাতারার করা বলে ব্রায়ান চারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬১ রানে বিদায় নেন মুমিনুল। দেশের মাটিতে মুশফিক-মুমিনুলের এই জুটি (২৬৬ রান) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশীপ।
এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস মিলে ৩১২ রান করেন। যা দেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত টাইগারদের সর্বোচ্চ জুটি।
তবে টাইগারদের সর্বোচ্চ জুটি ৩৫৯ রানের। গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে করে এই জুটি গড়েন মুশফিক। সারা বাংলা
ইনজুড়ির পর মেসির প্রথম ছবি

ইনজুড়ির পর মেসির প্রথম ছবি

স্পানিশ লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুড়িতে পড়েন লিওনেল মেসি। সেই ম্যাচে হাতে আঘাত পান বার্সালোনার এই তারকা যা তাকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে।
তবে শুধু এই ম্যাচটিই নয়, মেসি ছিটকে যায় বার্সালোনার পরবর্তি ৬টি ম্যাচ থেকেই। এই ৬ ম্যাচের মধ্যে আবার রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মর্যাদার এল ক্লাসিকো এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচ। তবে ইনজুড়ি মেসিকে এসব ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় এবং ইনজুড়িতে পড়ে যে সময়টা মেসি পেয়েছেন সেটা নিজের হাতের উন্নতির জন্যই কাজে লাগাচ্ছেন। একই সাথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেনও বার্সালোনার এই তারকা।
রোনালদোর পর জুভেন্টাসের নজরে এবার পোগবা!

রোনালদোর পর জুভেন্টাসের নজরে এবার পোগবা!


রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে তুলে নেওয়ার পর এবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে পল পোগবাকে দলে নিতে মরিয়া জুভেন্টাস৷ ফুটবল মহলে গুঞ্জন পোগবাকে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডে দল নিতে তৈরি ইতালির এই ক্লাব৷
জোর গুঞ্জন, পোগবাকে পেতে প্রয়োজনে আর্জেন্টাইন তারকা হিগুয়েনকে ট্রান্সফার অর্থে ছেড়ে দিতে তৈরি জুভেন্টাস৷ এমন হলে, সম্প্রতি ৯৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রোনালদোকে নেওয়ার পর আরও একটি হাইভোল্টেজ অদল বদলের পথে হাঁটতে চলেছে সিরি এ লিগের এই ক্লাবটি৷
শেষ মৌসুমে ম্যাঞ্চেস্টারের জার্সিতে সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি ফরাসি মিডফিল্ডার পোগবা৷ কোচের সঙ্গেও তার সম্পর্কে অম্ল-মধুর৷ অন্যদিকে অতীতে জুভেন্টাসে খেলেছেন পোগবা৷ ২০১৬ সালে ৯৯ মিলিয়ন ডলার অর্থের বিনিময়ে তাকে জুভেন্টাস থেকে দলে নিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড৷ জল্পনা সত্যি হলে, এবার ইউনাইটেড ছেড়ে তুরিনে ফিরতে চলেছেন পোগবা৷
দেশের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে বল পায়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন পোগবা৷ ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই ফুটবলার৷ ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে গোল পেয়েছিলেন পোগবা৷ বিশ্বকাপ ফাইনালে অঘোষিত নেতার ভূমিকাতেও পাওয়া গিয়েছিল তাকে৷ রাশিয়ায় বিশ্বকাপ যজ্ঞ শেষ হওয়ার পর ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে, ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে ড্রেসিংরুমে সতীর্থ ফুটবলারদের তাতাতে দেখা গিয়েছিল পোগবাকে৷ ক্লাব ফুটবলে এবার ফ্রান্সের এই ট্রাম কার্ডকে দলে নিতে চায় জুভেন্টাস৷
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
এমবাপের যে মারাত্মক অসুখ গোপন রেখেছিল ফ্রান্স !

এমবাপের যে মারাত্মক অসুখ গোপন রেখেছিল ফ্রান্স !

রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ প্রতিভা নির্বাচিত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। ১৯ বছর বয়সী এই ফরাসি স্ট্রাইকারের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে গেছে সারাবিশ্ব। ফাইনালে ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। সবাই বলছে, মেসি-রোনালদোর যুগ শেষে ফুটবলবিশ্বকে শাসন করবেন এমবাপে। এত আলোচনা, আগ্রহ যাকে নিয়ে, তাকেই ঘিরে এমন এক সত্যি লুকিয়ে আছে এতদিন জানতেই পারেননি কেউ।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল আর ফাইনালে খেললেও, শতভাগ সুস্থ ছিলেন না এমবাপে!‌ ছোটখাটো চোট–আঘাত অনেকেরই থাকে। এমবাপের সেরকম কিছু ছিল না। যা হয়েছে তা অনেক বড় সমস্যা। ফরাসি পত্রিকা ‘এল ইকুইপে’ জানিয়েছে, সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন তিনটে ভার্টিব্রা ব্লকেজ হয়ে যায় এমবাপের!‌
এই একটি কারণেই স্বপ্ন শেষ বেলজিয়ামের

এই একটি কারণেই স্বপ্ন শেষ বেলজিয়ামের

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ফ্রান্স সেই তাদের রুদ্রমূর্তি ধরে রাখে। ৫২তম মিনিটে বেলজিয়ামকে হতাশায় ডুবিয়ে ১-০তে এগিয়ে যায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মাপা কর্নার থেকে মিলিয়ন ডলারের গোলটি করেন স্যামুয়েল উমতিতি।
৬৫তম মিনিটে আক্রমণে যায় বেলজিয়াম। কিন্তু ফেলানির হেড বারের অল্প বাইরে দিয়ে চলে যায়। পিছিয়ে পড়া বেলজিয়াম গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বারবার আক্রমণে যায় তারা। অন্যদিকে ব্যবধান ধরে রাখার জন্য রক্ষনভাগকে আরও বেশি শক্তিশালী করে রাখে ফ্রান্স। আস্তে আস্তে ফ্রান্সের অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ম্যাচ। ৭০ মিনিট, ৮০, ৮৫ মিনিট পেরিয়ে যায় সেই ১-০ ব্যবধানেই। শেষদিকে একের পর এক আক্রমণে করেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বেলজিয়াম। শেষমেশ ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
বল পজিশন ম্যাচের ফলাফলে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না। এবারের বিশ্বকাপে বারবারই প্রমাণ হয়েছে। আজও আরেকবার প্রমাণ হলো এটা । কার্যকর আক্রমণই আসল কথা।বল পজিশনে বেলজিয়াম যেখানে ৬৪ শতাংশ, ফ্রান্স সেখানে মাত্র ৩৬। কিন্তু হলে কি হবে, ম্যাচ শেষে হেসেছে ফ্রান্সই। বল পজিশনে অনেক পিছিয়ে থেকেও বেলজিয়ামকে ০-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল ওঠে গেছে দিদিয়ের দেশমের দল।
একটি মাত্র কর্নারই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে, ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিয়েছে। ৫১তম মিনিটে কর্নার থেকে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন উমতিতি। এই ব্যবধান ধরে রেখেই খেলা শেষ করে ফ্রান্স। শেষ দিকে বারবার আক্রমণ করেছে বেলজিয়াম। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না তাদের। আক্রমণভাগে রোমেলো লুকাকুর নিস্ক্রিয়তাও মূল্য দিতে হয় বেলজিয়ামকে। ফ্রান্সের গোলমুখে পুরো ৯০ মিনিটে একটি শটও নিতে পারেননি লুকাকু। তবে দুর্দান্ত খেলেছেন এডেন হ্যাজার্ড। তাকে মনে রাখবে ফুটবলপ্রেমীরা।
উত্তেজনার প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। গোল না হলেও আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠে প্রথমার্ধের খেলা। এ সময়ে বল পজিশন ৬০ শতাংশ বেলজিয়ামের দখলে থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। ফ্রান্স তিনটি শট নেয় বেলজিয়ামের গোলমুখে। অন্য দিকে বেলজিয়াম গোটা দুয়েক শট নেয় ফ্রান্সের গোল সীমানায়। দুর্দান্ত খেলেছেন দুই দলের গোল রক্ষক। বলতে গেলে প্রথম ৪৫ মিনিটে নায়ক তারাই।
১৮তম মিনিটে মাতুউদির জোরালো শট সেভ করে দেন বেলজিয়াম গোল কিপার কোর্তোয়া। পরের মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণে ফ্রান্সের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দেয় বেলজিয়াম। ভাগ্য নিতান্ত ভালো ছিল ফরাসীদের। এডেন হ্যাজার্ডের বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন হুগো লরিস। ২২তম মিনিটে আরেকবার বেঁচে যায় ফ্রান্স। কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ শট নিয়েছিলেন অ্যাল্ডারওইরেল্ড। এবারও দারুণ দৃঢ়তায় বল বিপদমুক্ত করেন লরিস।
দুই আক্রমণ থেকে বেঁচে ঘুরে দারুণভাবে দাঁড়ায় ফ্রান্স। পরপর বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত আক্রমণ শানায় তারা। ৩১তম মিনিটে জিরুড ঠিকঠাক হেড নিতে পারলে এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। ৩৪ মিনিটে এমবাপে দারুণ একটা বল দিয়েছিলেন জিরুডকে। কিন্তু সুযোগটা এবারও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বলে টোকা মারতে পারলেই গোল পেতে পারত ফ্রান্স। ৩৯মতম মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু এ যাত্রায়ও বেঁচে যায় বেলজিয়াম। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন কাভার্ড। কিন্তু গোলকিপারের দৃঢ়তায় এবারও বেঁচে যায় বেলজিয়াম।