Showing posts with label দেশের বাহিরে. Show all posts
Showing posts with label দেশের বাহিরে. Show all posts
যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

অস্ট্রেলিয়ার পার্থের অধিবাসী দুই যমজ বোন অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ক। ২০১২ সাল থেকে এই দুই বোন বেন বায়ার্নের একই সঙ্গে প্রেম করছেন। ছয় বছর প্রেম করার এখন তারা বেনকে বিয়ে করতে চান। তবে এই দুই বোনের ইচ্ছায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আইন। কারণ ১৯৬১ সালের বিবাহ আইন অনুসারে বহুবিবাহের অনুমোদন নেই অস্ট্রেলিয়ায়।
৩৩ বছর বয়সী অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ককে বিশ্বের সবচেয়ে ‘অভিন্ন যমজ’ হিসেবে ধরা হয়। অস্ট্রেলিয়ান টিভি শো-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অ্যানা এবং লুসি ডেসিঙ্ক বলেন, ‘আমাদের একজন পার্টনার আছে, বেন। আমরা একদিন তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আইন বলছে, আমরা সেটা করতে পারবো না। এখন আমরা কী করবো?’
দুই বোনের সেই এপিসোডটি এখনো টিভিতে অনএয়ার হয়নি। তবে ইনস্টাগ্রামের তাদের কথোপকথনের কিছু ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই দুই বোনের বেন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সে এ দুই বোনের সঙ্গেই থাকে।
প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক

প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক



একসঙ্গে শুধু গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়াই নয়। ঝাঁপ দেওয়ার আগে একে অন্যকে ওড়না দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন সুজাতা ও অভিষেক। যা দেখে পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও যাতে একে অন্যকে ছেড়ে আলাদা না হয়ে যেতে হয়, তাই নিজেদের তারা বেঁধে রেখেছিলেন। আর তার তাতে পুলিশেরও সুবিধা হয়েছে একই সঙ্গে দু’টি মৃতদেহ খুঁজে পেতে।
রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ জানায়, একটি ছেলের দেহ গঙ্গায় উপুড় হয়ে ভাসছে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে লঞ্চ নিয়ে তারা পৌঁছে যায় মেটিয়াবুরুজের নেতাজি সুভাষ ডকের কাছে। কিন্তু দেহ তুলতে গিয়ে পুলিশ দেখে উপুড় হয়ে থাকা ছেলেটির দেহের নিচে চিৎ হয়ে ভাসছে একটি মহিলার দেহ। তার পরেই পুলিশ নিশ্চিত হয় দেহ দু’টি গত ১৮ ডিসেম্বর গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া সুজাতা বাজপেয়ী এবং অভিষেক সাউয়ের।
তদন্তকারীরা জানান, দেহ উদ্ধারের সময়ে তারা দেখেন একজনের কোমরের সঙ্গে অপরজনের কোমর ওড়না দিয়ে বাঁধা।
সোমবার লাশ উদ্ধারের পর এক পুলিশকর্মী জানান, সাধারণত দু’জন একসঙ্গে ঝাঁপ দিলে দেহ এক সঙ্গে কখনওই পাওয়া যায় না। এরা নিজেদের বেঁধে নিয়েছিলেন বলেই এক সঙ্গে দু’জনের দেহ উদ্ধার হল।
সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে বাঁধা অবস্থায় গঙ্গা থেকে কোনও যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। কয়েক বছর আগে বাগুইআটি থানার কেষ্টপুর এলাকায় এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
১৮ তারিখ হাওড়াগামী লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় ওই যুগল। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ পরে লঞ্চ থেকে সুজাতার ব্যাগটি উদ্ধার করে। যার মধ্যে মেলে বেশ কিছু কাগজপত্র ও প্রেসক্রিপশন। ওই প্রেসক্রিপশনগুলো থেকেই জানা যায় সুজাতার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। সামনে আসে সুজাতা ও অভিষেকের প্রেমের সম্পর্কের কথাও।
এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুজাতা মস্তিষ্কের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কিন্তু ক্যানসার এমন পর্যায়ে ছিল যে চিকিৎসাতেও আর সারবে না বলেই জানতে পেরেছিলেন সুজাতা ও তাঁর বন্ধু অভিষেক। একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয় জেনেই দু’জনে ওই দিন বাড়ি থেকে বেরোন এবং লঞ্চে উঠে ঝাঁপ মারেন। এর পর থেকেই দু’জনের খোঁজে একাধিক বার তল্লাশি চলে গঙ্গায়। শেষে সোমবার উদ্ধার হয় দু’টি দেহ।
ধুনটে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন

ধুনটে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন


জিল্লুর রহমান, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধন হয়েছে। এতে প্রায় মাছ চাষী স্বপন জোয়াদারের প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কান্তনগর গ্রামে।
মাছ চাষী স্বপন জোয়াদার বলেন, আমি ২ বছর পূর্বে ৯০ শতক জমিতে পুকুর খনন করে এনজিও থেকে ঋন নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। রবিবার সকালে মাছের খাদ্য দেওয়ার জন্য পুকুরে গিয়ে দেখতে পাই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমারা প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগের কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আাইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।
অজগরের পেট চিরে নারীর মরদেহ উদ্ধার

অজগরের পেট চিরে নারীর মরদেহ উদ্ধার

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা দ্বীপে অজগরের পেট থেকে ওয়া থিবা (৫৪) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছের সবজি ক্ষেতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই নারী। এর কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রামের মানুষজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরের দিন তারা ক্ষেতের কাছে জঙ্গলে ওই নারীর পায়ের স্যান্ডেল এবং হাতের ছুরিটি পড়ে থাকতে দেখেন। আর দেখা যায়, সেগুলোর ৩০ মিটার দূরে শুয়ে আছে পেট মোটা বিশাল এক ডোরাকাটা অজগর সাপ।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অজগরটিকে দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়, সাপটিই হয়তো ওয়া থিবাকে গিলে ফেলেছে। তারা সাপটিকে মেরে জঙ্গলের বাইরে নিয়ে যান। পরে অজগরের পেট চিরে তার ভেতর ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনাও ছবি ও ফুটেজে দেখা গেছে, অজগরের পেট চিরে পূর্ণবয়স্ক একটি নারীর অক্ষত মরদেহ বের করে আনছেন কয়েকজন।
তবে এটিই প্রথম নয়, গত বছরের মার্চেও সুলাওয়েসিতে এক ব্যক্তিকে খেয়ে ফেলে একটি অজগর।  ২৫ বছরের বছর বয়সী এক যুবক বাড়ির পাশের পাম বাগানে যাওয়ার পর এমন করুণ পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে।
এছাড়াও ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পাহাড়ি অজগর (রক পাইথন) ১০ বছরের এক বালককে গিলে খায়।
ইরানে পুরুষ সেজে ছদ্মবেশে ফুটবলের মাঠে মেয়েরা

ইরানে পুরুষ সেজে ছদ্মবেশে ফুটবলের মাঠে মেয়েরা




আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফুটবল ম্যাচ দেখতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যাপক নজর কেড়েছেন ইরানের বেশ কজন নারী। মুখে নকল দাড়ি গোঁফ, মাথায় পরচুলা লাগিয়ে পুরুষদের পোশাক পরে প্রিয় দল পার্সপোলিসের পতাকা গায়ে জড়িয়ে তারা খেলা দেখতে গিয়েছিলেন।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে গ্যালারিতে বসে আছেন তরুণ কয়েকজন ছেলে। খুব মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে না দেখলে তারা যে নারী, তা বোঝা কঠিন, সেটি এই মেয়েরাই প্রমাণ করেছে।
তেহরানের আযাদি স্টেডিয়ামে গত শুক্রবার ঘটেছে ঘটনাটি। এই মেয়েদের একজন স্থানীয় একটি কাগজে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি এ নিয়ে তিনবার এভাবে মাঠে ঢুকে খেলা দেখেছেন।
তিনি বলছিলেন, “গুগুলে গিয়ে টিউটোরিয়াল দেখে মেকআপের নানা রকম কায়দা শিখেছি ছদ্মবেশ নেয়ার জন্য।” তিনি জানান এর আগে একবার মাঠে খেলে দেখতে গেলে তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা ঢুকতে দেয়নি। তারপরে তিনি এমন বুদ্ধি বের করেছেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন।

কঠোর শরীয়া আইন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার দেশ ইরানে নারীদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা আইনত নিষিদ্ধ না হলেও এক অর্থে স্বীকৃত নয়। নারীদের মাঠে না ঢোকাই সেখানে স্বাভাবিক। মাঠে যাওয়ার পর ঢুকতে দেয়া হয়নি এমন ঘটনা রয়েছে।
এমনকি মাঠে খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে নারীদের। ২০১৪ সালে একজন ব্রিটিশ ইরানি অ্যাক্টিভিষ্ট মাঠে ঢুকে পুরুষদের ভলিবল ম্যাচ দেখার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। ২০১৮ সালে মাঠে ঢুকে খেলা দেখার চেষ্টা করার কারণে ৩৫ জন নারীকে আটক করা হয়। তবে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে নারীরা মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারতেন।
এই ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য একবার নারীদের মাঠে ঢোকার অনুমতি মিলেছিল। তবে তাদের পুরুষদের থেকে আলাদা বসতে হয়েছিলো।
ছদ্মবেশি ঐ নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো আটক হওয়ার কোন ভয় তার মধ্যে ছিল কিনা?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেন আমি চিন্তিত হবো? মাঠে গিয়ে আমি কোন অপরাধ করিনি। আইনে নারীর মাঠে যাওয়াকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। তবে কয়েকজন নারীকে এর আগে তারা ধরেছে। তাদের মাঠে আর যাবে না বলে মুচলেকাও দিতে হয়েছে।”
কিন্তু ঝুঁকি নিয়েও মাঠে যাওয়ার পর যে ছবি তারা প্রকাশ করেছেন শুরুতে তা নিজেদের মধ্যেই ছিল। পরে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তাদের বাহবা জানিয়েছেন।
কিন্তু ধিক্কারও কম জোটেনি। কেন তারা মাঠে গিয়ে মেয়েদের খেলা দেখছেন না, পুরুষদের ম্যাচ কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ কিভাবে ফাঁকি দিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে আরেকজন বলেন, “আমরা দুটি গেট দিয়ে দল করে যখন ঢুকেছি তখন কেউ টেরই পায়নি। তবে স্টেডিয়ামে বসার পর অবশ্য অনেকেই বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল তারা ম্যাচ জুড়ে আমাদের দিকে কোন মন্তব্য ছুড়ে দেননি। বরং কেউ কেউ এসে আমাদের সাথে সেলফি তুলেছেন”
ইরানে যতদিন পর্যন্ত মেয়েদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা স্বীকৃত না হবে ততদিন পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলে এই মেয়েরা জানান।
ইরানে প্রকাশ্যে মাথার হিজাব খুলে ফেলার জন্যে কিছুদিন আগে নারীদের আটক করা ঘটনা ঘটেছে।