প্রেমিককে দিয়ে স্বামী হত্যার ভয়ঙ্কর তথ্য দিল রাজিয়া ! bdevent24


টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. শামীমকে হত্যা করিয়েছে তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম। দুই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল রাজিয়ার। তাদের নিয়েই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।
শামীম হত্যায় গ্রেফতার সুজন ও তার সহযোগী আবদুর রহিমের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে সুজনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল রাজিয়ার। তার আরেক প্রেমিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার সুজন ও রহিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর গোপালপুরের নিজ বাড়ি থেকে রাজিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাওরীন মাহমুদ ও আরিফুল ইসলামের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সুজন ও রহিম। এদের মধ্যে সুজন গোপালপুর উপজেলার বাসকাইল গোইজারপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে এবং রহিম একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, ২০১৬ সালে ১৭ আগস্ট শামীম গোপালপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এক সপ্তাহ পর ২৪ আগস্ট গোপালপুরের বৈরান নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাজিয়া ২৬ আগস্ট অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তিকে আসামি করে গোপালপুর থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, গ্রেফতার সুজন ও রহিম জবানবন্দিতে আদালতকে জানায়, রাজিয়া পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। তার পরিকল্পনায় শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। ওইদিন শামীম বাড়ি থেকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে জুয়া খেলার কথা বলে গোপালপুরের বৈরান নদীর পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বৈরান নদীর কচুরিপানার নিচে ঢেকে রাখা হয়।
ওসি জানান, রাজিয়ার সঙ্গে সুজন ছাড়াও আরেকজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হত্যায় জড়িত এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়ায় রাজিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।-জুম বাংলা।

SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: