বানিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ | bdevent24


রহিম রেজা, ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে বানিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তুলাচাষ। যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় গত সাত বছর ধরে রুপালি-১ ও ৪ জাতের তুলাচাষ করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলা সদরের গাবখান গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ৭০ একর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। তুলাচাষ লাভজনক হওয়া ও ফলন ভালো পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। এখন চলছে তুলা সংগ্রহের সময়।
চৈত্রের শুরুতেই সাদা তুলায় ভরে গেছে ক্ষেতগুলো। এ অঞ্চলের কৃষিতে তুলাচাষকে নতুন সম্ভাবনা বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে জেলার গাবখান গ্রামে প্রথম রুপালি-১ জাতের তুলাচাষ শুরু হয়। ওই বছর ফলন ভালো পাওয়ায় জেলার রাজাপুর এবং নলছিটিতে রুপালি-৪ জাতের তুলাচাষ শুরু করেন চাষিরা। তবে তুলা চাষের জমি নির্বাচন, বীজ সংগ্রহ ও পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় চলতি এই দুই উপজেলায় আপাতত তুলাচাষ বন্ধ রয়েছে। চাষিরা জানান, উঁচু জমিতে তুলা চাষ ভালো হয়।
আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বীজ লাগানোর সময়। কার্তিক মাসে ফুল আসে। অগ্রহায়ণ-পৌষে ফল ধরে। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফল ফেটে সাদা তুলা বের হয়। তখন ক্ষেত থেকে তুলা সংগ্রহ করেন চাষিরা। এ বছর তুলার ফলন ভালো হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচও বেড়েছে বলে জানান কৃষকরা।রাজাপুরের আব্দুল কাদের জানান, এই এলাকার জমি কিছুটা নিচু হলেও খুব উর্বর। আমরা চার বছর তুলা চাষ করে তিন বছরই ভালো ফলন পেয়েছি। গত বছর বন্যার কারণে তুলা নষ্ট হয়ে যায়। তা ছাড়া তুলাচাষে কিছু সমস্যা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেচ ও বর্ষা মৌসুমে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।

SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: