জয়পুরহাটে আবাদী জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কিলোমিটার পূনঃ খাল খনন শুরু

জয়পুরহাটে আবাদী জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কিলোমিটার পূনঃ খাল খনন শুরু

 জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ২৬ ডিসেম্বর, জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষের আবাদী জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য হিচমী থেকে বিলের ঘাট পর্যন্ত ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূনঃ খাল খনন শুরু হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় এই খননের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাকির হোসেন। এ উপলক্ষে এক সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক এবি এম এমদাদুল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায়, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী ও জেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দল জলিল মিয়া।
আগামী তিন মাসের মধ্যে খাল খনন শেষ হলে ওই এলাকায় মানুষরা জলাবদ্বতার হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবে তেমনি খলের পানি দিয়ে ফসল ফলাতে পারবে। এছাড়া খালে মাছও চাষ করতে পারবে।
 ঢাবি চারুকলার ৭০ বছর পূর্তি

ঢাবি চারুকলার ৭০ বছর পূর্তি

ঢাবি, প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার ৭০ বছর পূর্তি ছিল আজ ২৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার)। চারুকলার ৭০ বছর পূর্তি এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জয়নুল উৎসব মাস ব্যাপী পালিত হচ্ছে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আখতারুজ্জামান এর নেতৃত্বে প্রথমে জয়নুল আবেদিনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। তারপর অনুষদ প্রাঙ্গন থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি টিএসসি হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ সামাদ, অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.এ কে এম গোলাম রব্বানী, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর পুত্র প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, অধ্যাপক রফিকুন নবী এবং চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের শুভ জন্মদিন পালন

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের শুভ জন্মদিন পালন



চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ মিয়া ভাই সদা মিষ্টভাষী ও সদালাপি চুয়াডাঙ্গা যুব সমাজের নয়নের মনি। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের শুভ জন্মদিন ছিল আজ।
নিজের মনে না থাকলে ও নেতা কর্মীদের মন থেকে তিনি হারিয়ে যাননি। সকলে মনে রেখেছে তার জন্মদিনের কথা।
ঘটা করে না হলেও ছোট পরিসরে তার জন্মদিন নেতাকর্মীরা পালন করেছেন।কেউ মিষ্টি নিয়ে আবার কেউ জন্মদিনের কেক নিয়ে হাজির।
মিয়া ভাই অবাক তার জন্মদিনের কথা সবাই মনে রেখেছেন। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগে আপ্লুত হয়েছেন।
অনেকে ভালোবেসে মিয়া ভাই হিসেবে সম্মোধন করেন। তিনিও ছোট ভাইসহ নেতৃবৃন্দদের বুকের পাজর দিয়ে আগলে রেখেছেন।
এজন্য তিনি চুয়াডাঙ্গার যুবসমাজের কাছে অতি প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেন অন্তরালে কাউকে বুজতে দেন না। চুয়াডাঙ্গার যুব সমাজের অভিভাবক নঈম হাসানের জন্মদিনে অনেকে ভালোবেসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কবি জসিম উদ্দীন হলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং একাদশ জাতীয় সংসদের চুয়াডাঙ্গা এক আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক কাজী সাদরুল উলা বাবু জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা জানান রামিম হাসান সৈকত, শেখ আনোয়ার, জিংকু এবং উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবন্দ সহ শুভাকাঙ্খীরা।
যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

যে কারণে বিয়ে করতে পারছেন না বিশ্বের ‘সবচেয়ে অভিন্ন’ যমজ!

অস্ট্রেলিয়ার পার্থের অধিবাসী দুই যমজ বোন অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ক। ২০১২ সাল থেকে এই দুই বোন বেন বায়ার্নের একই সঙ্গে প্রেম করছেন। ছয় বছর প্রেম করার এখন তারা বেনকে বিয়ে করতে চান। তবে এই দুই বোনের ইচ্ছায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আইন। কারণ ১৯৬১ সালের বিবাহ আইন অনুসারে বহুবিবাহের অনুমোদন নেই অস্ট্রেলিয়ায়।
৩৩ বছর বয়সী অ্যানা ডেসিঙ্ক এবং লুসি ডেসিঙ্ককে বিশ্বের সবচেয়ে ‘অভিন্ন যমজ’ হিসেবে ধরা হয়। অস্ট্রেলিয়ান টিভি শো-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অ্যানা এবং লুসি ডেসিঙ্ক বলেন, ‘আমাদের একজন পার্টনার আছে, বেন। আমরা একদিন তাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আইন বলছে, আমরা সেটা করতে পারবো না। এখন আমরা কী করবো?’
দুই বোনের সেই এপিসোডটি এখনো টিভিতে অনএয়ার হয়নি। তবে ইনস্টাগ্রামের তাদের কথোপকথনের কিছু ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই দুই বোনের বেন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সে এ দুই বোনের সঙ্গেই থাকে।
সবার উদ্দেশ্যে মাহবুব তালুকদারের ৪ বার্তা

সবার উদ্দেশ্যে মাহবুব তালুকদারের ৪ বার্তা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজের বিবেচনায় রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে ৪টি বার্তা দিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বার্তা পাঠ করেন তিনি।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কোনো প্রশ্ন নেব না, কারও প্রশ্নের উত্তরও দেব না।
‘আমার বার্তা’শিরোনামে দেয়া লিখিত বার্তায় মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নির্বাচন ও সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি সহিংসতামুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না করতে পারলে এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না।’
তার দেওয়া চারটি বার্তা হলো-
এক. নির্বাচন কেবল অংশগ্রহণমূলক হলে হয় না, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ হতে হয়। এ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যিনি বা যারাই জয়লাভ করুন, দেশের মানুষ যেন পরাজিত না হয়।
দুই. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বলছি: অতি উৎসাহী হয়ে কোনো অনভিপ্রেত আচরণ করবেন না। আপনারা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। প্রত্যেকের প্রতি সম-আচরণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন আপনাদের কর্তব্য। নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করুন।

তিন. রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের বলছি: জাতির ক্রান্তিকালে আপনারা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন। বিবেক সমুন্নত রেখে অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে আইন অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণে আপনাদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। কোনো কলুষিত নির্বাচনের দায় জাতি বহন করতে পারে না।
চার. ভোটারদের বলতে চাই: নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসুন। আপনার ইচ্ছানুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিন। ভয়ভীতি বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। আপনার একটি ভোট গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। মনে রাখবেন, এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মসম্মান সমুন্নত রাখার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন আগামী প্রজন্ম ও আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণের নির্বাচন।
৯২ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর দায়িত্ব নিলেন নেইমার

৯২ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর দায়িত্ব নিলেন নেইমার


একদম পাড়ার রাস্তায় ফুটবল খেলে, অভাব অনটনের সাথে সংগ্রাম করে, জীবন যুদ্ধে অনেক লড়াই করে আজকের এই নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমার জুনিয়র।
জীবন যুদ্ধে সফল একজন নেইমার চাইলেন, যেই সাও পাওলোর আলো বাতাস পথঘাট মানুষজন তাকে এ অব্দি নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে, সেই সাও পাওলোর তথা ব্রাজিলের জন্যে কিছু করতে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যে কিছু করতে! তিনি তার এই চিন্তাভাবনার নাম দিলেন ‘Giving Back’!
নেইমারেরর এই ‘Giving back’ অনুভূতি থেকেই ২০১৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন, Instituto Neymar Jr নামক একটি চ্যারেটিবল অর্গানাইজেশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থযোগান দাতা স্বয়ং নেইমার, এবং এটির প্রধান স্পন্সরশীপ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য, সাও পাওলো সহ ব্রাজিলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়ালেখা চালানোর পাশাপাশি, তাদের বিভিন্ন খেলাধুলায় পারদর্শী করে তোলা এবং পাঠ্যবইয়ের বাহিরে নানান বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
বর্তমানে Instituto Neymar Jr এর ১২০ টি অফিসের অধীনে ৯২ হাজার শিশু সহায়তা পাচ্ছে পুরো ব্রাজিল জুড়ে।
একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে ইংরেজিতে বিশেষ দক্ষ, সংগীত ও নৃত্য শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষা, বিভিন্ন কারিগরি ও সামাজিক উন্নয়নমুলক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়া ফুটবলের পাশাপাশি ভলিবল, বিচ ভলিবল, সাতার, জুডো, দাবা, বাস্কেটবল, ফুটসাল, বডিবিল্ডিংয়ে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
চিন্তা করেন, সংখ্যাটা ৯২ হাজার! ব্রাজিলের এক সাংবাদিক একবার বলেছিলেন, “Neymar Jr, arguably the best footballer in the world right now with a heart the size to match his on field prowess!”
নেইমার ইন্সটিটিউট এখন চার বছর পূর্ণ করেছে। আশা কতি এগিয়ে যাক নেইমার, বহুদূর যাক নেইমারের
প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক

প্রেমিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত জেনে যা করলো যুবক



একসঙ্গে শুধু গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়াই নয়। ঝাঁপ দেওয়ার আগে একে অন্যকে ওড়না দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন সুজাতা ও অভিষেক। যা দেখে পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও যাতে একে অন্যকে ছেড়ে আলাদা না হয়ে যেতে হয়, তাই নিজেদের তারা বেঁধে রেখেছিলেন। আর তার তাতে পুলিশেরও সুবিধা হয়েছে একই সঙ্গে দু’টি মৃতদেহ খুঁজে পেতে।
রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ জানায়, একটি ছেলের দেহ গঙ্গায় উপুড় হয়ে ভাসছে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে লঞ্চ নিয়ে তারা পৌঁছে যায় মেটিয়াবুরুজের নেতাজি সুভাষ ডকের কাছে। কিন্তু দেহ তুলতে গিয়ে পুলিশ দেখে উপুড় হয়ে থাকা ছেলেটির দেহের নিচে চিৎ হয়ে ভাসছে একটি মহিলার দেহ। তার পরেই পুলিশ নিশ্চিত হয় দেহ দু’টি গত ১৮ ডিসেম্বর গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া সুজাতা বাজপেয়ী এবং অভিষেক সাউয়ের।
তদন্তকারীরা জানান, দেহ উদ্ধারের সময়ে তারা দেখেন একজনের কোমরের সঙ্গে অপরজনের কোমর ওড়না দিয়ে বাঁধা।
সোমবার লাশ উদ্ধারের পর এক পুলিশকর্মী জানান, সাধারণত দু’জন একসঙ্গে ঝাঁপ দিলে দেহ এক সঙ্গে কখনওই পাওয়া যায় না। এরা নিজেদের বেঁধে নিয়েছিলেন বলেই এক সঙ্গে দু’জনের দেহ উদ্ধার হল।
সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে বাঁধা অবস্থায় গঙ্গা থেকে কোনও যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। কয়েক বছর আগে বাগুইআটি থানার কেষ্টপুর এলাকায় এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
১৮ তারিখ হাওড়াগামী লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় ওই যুগল। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ পরে লঞ্চ থেকে সুজাতার ব্যাগটি উদ্ধার করে। যার মধ্যে মেলে বেশ কিছু কাগজপত্র ও প্রেসক্রিপশন। ওই প্রেসক্রিপশনগুলো থেকেই জানা যায় সুজাতার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। সামনে আসে সুজাতা ও অভিষেকের প্রেমের সম্পর্কের কথাও।
এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুজাতা মস্তিষ্কের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কিন্তু ক্যানসার এমন পর্যায়ে ছিল যে চিকিৎসাতেও আর সারবে না বলেই জানতে পেরেছিলেন সুজাতা ও তাঁর বন্ধু অভিষেক। একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয় জেনেই দু’জনে ওই দিন বাড়ি থেকে বেরোন এবং লঞ্চে উঠে ঝাঁপ মারেন। এর পর থেকেই দু’জনের খোঁজে একাধিক বার তল্লাশি চলে গঙ্গায়। শেষে সোমবার উদ্ধার হয় দু’টি দেহ।
জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন এ্যাডঃ প্রদীপ কুমার সরকার

জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন এ্যাডঃ প্রদীপ কুমার সরকার




জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ১২ নভেম্বর, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচানে জয়পুরহাট-২ আসনে ধানের শিষ মার্কায় দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় যুব আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ছাত্রদল ফাউন্ডেশন সুপ্রীম কোর্ট শাখার সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এ্যাডঃ প্রদীপ কুমার সরকার। সোমবার তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর উপজেলায় গঠিত জয়পুরহাট-২ আসন। আর এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে একাধিক ব্যাক্তি। যার মধ্যে রয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ সহ আরো অনেকে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, এ্যাডঃ প্রদীপ কুমার সরকার। তিনি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত এ্যাডঃ বীরেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র। তিনি বিএনপির কর্মী হয়ে এলাকার মানুষের সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন। এছাড়া কালাই, তেলাল ও আক্কেলপুরে বিএনপি সমর্থিত মানুষের সব সময় খোজ খবর রাখেন এবং আইনগত সহায়তা প্রদান করে আসছেন।

তিনি বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্বোধন লগ্নে শহিদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য তার মরোনত্তর দেহ দান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ইংরেজীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং আইনে ব্যাচলর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং বিএনপির রাজনীতিতে সব সময় সক্রীয় আছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাবেক সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

তিনি আইন পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য একাধারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্বর্ণপদক, জেনারেল ওসমানী শাইনিং পার্সোনালিটি স্বর্ণপদক ও বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।

অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার সরকার বলতে গেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি এর আদর্শের সাথে জড়িত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান জয়পুরহাট জেলার গোপিনাথপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ২ বার গিয়েছিলেন। অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার সরকার তখন গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। শহীদ জিয়া তার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। তিনি শহীদ জিয়ার দুর্দান্ত সেই ভাষনের মর্মার্থ সেদিন কতটুকু বুঝেছিলেন জানিনা। তবে তাকে ভালবেসে ফেলেছিলেন চরমভাবে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সেই কিশোর বয়সেই। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট তিনি শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজের শুভ উদ্বোধন লগ্নে মানুষের কল্যাণে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তার মরণোত্তর দেহদান করেন।

জয়পুরহাটের সর্বস্তরের মানুষের নিকট জনপ্রিয় এই ব্যক্তি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট ২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি যাতে জয়পুরহাট জেলার গণমানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ অর্জন করেন সেজন্য সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী। এ্যাডঃ  প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রীন সিগন্যাল নিয়ে মাঠে কাজ করছি। আমি আশা করছি এবার দল থেকে মনোনয়ন পাব। এই আসনটি বিএনপির ঘাটি এবং বরাবরই  আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছে। বর্তমান এই আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়। তাই আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে জয়ী হব নিশ্চিত। যদি দল আমাকে মনোনয়ন না দেয় দল যাকে দেবে তার হয়েই কাজ করব।





নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ না থাকলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হবে: ফখরুল

নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ না থাকলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হবে: ফখরুল


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আজ সোমবার সকালে থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিন আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি। এদিকে আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে নিজের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর এসব কথা বলেন তিনি।
এর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ বা পরিস্থিতি নেই। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আমরা অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করব।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের মোটেও কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমাদের আন্দোলনের অংশ। এর মাধ্যমে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব
বাংলাদেশে ভীত ইংল্যান্ড

বাংলাদেশে ভীত ইংল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হার দিয়েই শুরু করতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছে জাহানারা-রুমানারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে দেয় টাইগ্রেস বোলাররা।
কিন্তু এরপরেও উইন্ডিজদের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। তবে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগকেই বড় হুমকি মনে করছেন ইংলিশ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান লউরেন উইনফিল্ড।
তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই দেখেছে তাঁরা (বাংলাদেশ) কিভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছে। আমরা জানি বাংলাদেশ আমাদের জন্য কি রকম হুমকি স্বরূপ, বিশেষ করে তাঁদের স্লো বোলার এবং স্পিনাররা। তাই একটি সুযোগ রয়েছে তাঁদের কারণ আমরা সত্যিই এমন কিছুর জন্য প্রস্তুতি নেই নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরা। তাই আমাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে মানিয়ে নিতে হবে। আশাকরি উইকেট ভাল হবে, আমরা রান তুলতে পারব এবং জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব।’
দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরী মুশফিকের, রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরী মুশফিকের, রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনজন খেলোয়ারেরই ডাবল সেঞ্চুরী ছিল। একজন মুশফিক, একজন তামিম ইকবাল ও অন্যজন সাকিব আল হাসান। তবে তিন জনেরই ডাবল সেঞ্চুরী একটি করে। এবার তামিম ইকবাল ও সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিকুর রহীম। ডাবল সেঞ্চুরী এখন তামিমের থেকে একটি বেশি বাংলাদেশী এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মর্যাদা ও সম্মানের দ্বিতীয় টেষ্টে গতকাল ২৬ রানে তিন উইকেট পতনের পর মাঠে নেমেছিলেন মুশফিক। এরপর মুমিনুলের সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন। মুমিনুল ১৬১ রানে আউট হলেও দিন শেষে ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহীম।
এরপর আজকে দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন মুশফিক। ধীরে ধীরে পৌছে যান দেড়শ রানের মাইলফলকে। এরপর সেখান থেকে চলে যান ডাবল সেঞ্চুরীর ম্যাজিক ফিগারে।
এই রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৮৬/৭। মুশফিক ২০০ ও মিরাজ ৫১ রানে অপরাজিত আছেন।
পাঁচবিবিতে মোহনা টেলিভিশনের ৯ম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত

পাঁচবিবিতে মোহনা টেলিভিশনের ৯ম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত






পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোহনা টেলিভিশনের নবম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বেলা ১১ টায় পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ হলরুমে কেক কাটা ও নাচ-গানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে কেক কাটেন পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জিয়াউল ফেরদৌস রাইট, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান দৌলতন নাহার দোলন, উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসার রিপন আহম্মেদ ও কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আশরাফুল আলম। 

এসময় উপ¯ি’ত ছিলেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার আব্দুল হাকিম মন্ডল, প্রকোশলী আব্দুল কাইয়ুম হোসেন, পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওমর আলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নূর-এ-শেফা এবং  প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।